চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক •

প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে চকরিয়ার বাসিন্দা শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার গ্রাম- মাইজপাড়া, ওয়ার্ড নং ৫, ডাকঘর- সিকদার পাড়া, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার পিতার নাম শহীদ আকবর আহমদ, মাতা- রশওন আরা বেগম। তার বড় ভাই বদিউল আলম বাবুল এ প্রতারণার শিকার হন।

শাহাব উদ্দিন সম্পর্কে বদিউল আলম বাবুলের সৎ ভাই। প্রতারণার শিকার বদিউল আলম কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ করে লিখিত চিঠি প্রদান করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ আকবর আহমদের দুই স্ত্রী। মুহছেন আরা বেগম (১ম স্ত্রী) ও রশওন আরা বেগম (২য় স্ত্রী)। বড় স্ত্রী মুহছেন আরা বেগম মারা যাওয়ার পর রশওন আরা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তিন ছেলে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে। দুই পরিবারের মধ্যে বদিউল আলম সবার বড়।

জানা যায়, বদিউল আলমের সৎ ভাই শাহাব উদ্দিনের কাছে মুক্তিযোদ্ধাসংক্রান্ত কাগজপত্র সব ছিল। বদিউল আলম ভাতা সম্পর্কে মাঝে-মধ্যে সৎ ভাই শাহাব উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ভাতা সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিতেন না। গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু হলেও শাহাব উদ্দিন বিষয়টি গোপন রেখে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, রেশন ভাতা, উৎসব ভাতা উত্তোলন করছেন। এমন তথ্য জানতে পেরে বিষয়টি সম্পর্কে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বরারেরে লিখিত অভিযোগ করেন বড় ভাই বদিউল আলম বাবুল।

প্রতারণার শিকার বদিউল আলম বাবুল জানান, সৎ ভাই শাহাব উদ্দিন আমাদের তিন ভাইয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাদের ভাতার অংশ একাই ভোগ করছে। সম্প্রতি ভাতার প্রসঙ্গে শাহাব উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, বাবার নাম গেজেটভুক্ত করার জন্য ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তাই সে আমাদের কোন ভাতার টাকা দিবে না।

এত টাকা কেন খরচ হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, এলাকার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে গিয়ে বাবার নাম গেজেটভুক্ত করার জন্য টাকা খরচ হয়েছে। তাই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে টাকা দিতে হয়েছে। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টেও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তিকে টাকা দিতে হয়েছে। তাই সবমিলিয়ে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সে আমাকে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দিয়ে হুমকি দেয়, আমি যাতে আর এলাকায় যেতে না পারি। এবং তার সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে। এ ব্যাপারে আমি জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছি। সে রাষ্ট্রের টাকা আত্মসাৎ করেছ। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।